অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারে আগামী ৪ সেপ্টেম্বর থেকে সারাদেশে যৌথ অভিযান পরিচালনা করার ঘোষণা দিয়েছে সরকার। গতকাল রবিবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে দেওয়া এক বার্তায় এ কথা জানানো হয়েছে। এতে বলা হয়েছেÑ ৪ সেপ্টেম্বর থেকে অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারে যৌথ অভিযানে পুলিশ, র্যাবের পাশাপাশি সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যরা অংশ নেবেন। ইতোমধ্যে যৌথ অভিযানের কর্মপরিকল্পনা নিয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে বিভিন্ন বাহিনীকে বেশ কিছু দিকনির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।এর আগে গত ২৫ আগস্ট স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ২০০৯ সালের ৬ জানুয়ারি থেকে ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট পর্যন্ত বেসামরিক জনগণকে দেওয়া আগ্নেয়াস্ত্রের লাইসেন্স স্থগিত করা হয়েছে। ওই সময়ে পর্যন্ত যাদের লাইসেন্স দেওয়া হয়েছে, তাদের আগামী ৩ সেপ্টেম্বরের মধ্যে গোলাবারুদসহ আগ্নেয়াস্ত্র-সংশ্লিষ্ট থানায় জমা দিতে হবে। নির্ধারিত ওই দিনের পর বাইরে থাকা অস্ত্র উদ্ধারে যৌথ অভিযান শুরু হবে।
এদিকে যৌথ অভিযান সামনে রেখে আজ সোমবার ৬৪ জেলার জেলা ম্যাজিস্ট্রেটরা পুলিশ সুপার, সশস্ত্র বাহিনীর প্রতিনিধি, গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিনিধিসহ অন্যান্য সংস্থার সদস্যদের সমন্বয়ে কোর কমিটির সভা করবেন। সভায় স্থগিত করা অস্ত্রের লাইসেন্সের তালিকা পর্যালোচনা করা হবে। ৪ সেপ্টেম্বর থেকে সশস্ত্র বাহিনী, বিজিবি, কোস্টগার্ড, পুলিশ, র্যাব, আনসারের সমন্বয়ে যৌথ অপারেশন টিম গঠন করে অস্ত্র উদ্ধার অভিযান পরিচালনা করা হবে। মহানগর এলাকায় পুলিশ কমিশনাররা সংশ্লিষ্ট সব বাহিনী ও গোয়েন্দা সংস্থার সহায়তায় আগামী ৪ সেপ্টেম্বর থেকে অভিযান পরিচালনা করবে। এ ছাড়া জেলা ম্যাজিস্ট্রেটদের প্রণীত স্থগিত হওয়া লাইসেন্সধারীদের তালিকা এবং নির্ধারিত তারিখ পর্যন্ত জমা করা অস্ত্রের লাইসেন্সধারীদের তালিকা ৫ সেপ্টেম্বরের মধ্যে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের রাজনৈতিক শাখায় পাঠাতে বলা হয়েছে।
এদিকে পুলিশ সদর দপ্তর জানিয়েছে, লুণ্ঠিত অস্ত্র ও গোলাবারুদ থেকে গতকাল পর্যন্ত বিভিন্ন ধরনের ৩ হাজার ৮৮০টি অস্ত্র, ২ লাখ ৮৬ হাজার ৩৫৩ রাউন্ড গুলি, ২২ হাজার ২০১টি টিয়ারশেল এবং ২ হাজার ১৩৯টি সাউন্ড গ্রেনেড উদ্ধার করা হয়েছে।