চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলার বটতলী এস.এম আউলিয়া উচ্চ বিদ্যালয় ও রায়পুর গাউছিয়া হাশেমিয়া আলিম মাদ্রাসায় ১৮ নভেম্বর সোমবার সকাল ১১ টায় সচেতনতামূলক সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে বক্তব্য রাখেন বটতলী এস. এম আউলিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ফরিদুল আলম,রায়পুর হাশেমিয়া আলিম মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মাওলানা আবুল বশর ও গ্রাম আদালত সক্রিয়করণ প্রকল্পের আনোয়ারা উপজেলা সমন্বয়কারি মোঃ মাহবুবুর রহমান। বক্তারা বলেন- গ্রাম আদালতের প্রচারণার অংশ হিসেবে মাদ্রাসা স্কুল , প্রশিক্ষণ কেন্দ্র ,উপজেলা এবং ইউনিয়ন পর্যায়ে অনুষ্ঠিত সকল ধরনের সভা সমাবেশে গ্রাম আদালতের প্রচারণার কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে। জনগণকে গ্রাম আদালতের সেবা বিশেষ করে গ্রাম আদালতের এখতিয়ার গ্রাম আদালতের গঠন, বিচারিক সুবিধা,গ্রাম আদালতে মামলা করার প্রক্রিয়া, গ্রাম আদালতের মামলার প্রক্রিয়া নিয়ে জনগণকে সচেতন করতে ব্যাপকভাবে কাজ করছে।
উল্লেখ্য মাত্র ১০ টাকা এবং ২0 টাকার বিনিময়ে গ্রাম আদালতে বিচারিক সেবা পাওয়া যায়। ৩ লক্ষ টাকার মধ্যে দেওয়ানী এবং ফৌজদারী বিরোধ গুলোর ১২0 দিনে মীমাংসা করা হয়। গ্রাম আদালত ৪ জন প্রতিনিধি এবং ১ জন চেয়ারম্যান নিয়ে গঠিত হয়। বিবাদের সাথে যদি কোন নারীর স্বার্থ জড়িত থাকে তাহলে বিচারিক প্যানেলে একজন নারীকে সদস্য হিসেবে নিয়োগ দিতে হয়।
উল্লেখ্য, স্থানীয় পর্যায়ে দ্রুত সময়ে, কম খরচে সঠিকভাবে বিরোধ মীমাংসার লক্ষ্যে স্থানীয় জনগণের জন্য বিচারিক সুবিধা ,মানবাধিকার রক্ষা নিশ্চিত কল্পে ১৯৭৬ সালে গ্রাম আদালত অধ্যাদেশর মাধ্যমে গ্রাম আদালতের যাত্রা শুরু হয়। এরপর ২০০৬ সালে গ্রাম আদালত আইন জারি এবং ২০১৩ সালে আইনের কিছু সংশোধনী আনা হয় এবং ২০১৬ সালে বিধি প্রণয়ন করা হয়। যার লক্ষ্য ছিল গ্রামীন জনগণের বিচারিক সেবাও মানবাধিকার নিশ্চিত করা।
গ্রাম আদালতকে সক্রিয় করার জন্য সরকার গ্রাম আদালত সক্রিয়করণ প্রকল্প হাতে নিয়েছে। ইতিমধ্যে গ্রাম আদালত সক্রিয়করণ প্রকল্প ১ম পর্যায় ও ২য় পর্যায় শেষ হয়েছে। বর্তমানে গ্রাম আদালত সক্রিয়করণ প্রকল্প ৩য় পর্যায় চলছে। এই প্রকল্পের আওতায় পার্বত্য তিনটি জেলা ছাড়া ৬১ টি জেলায় ৪৪৫৩ টি ইউনিয়নে গ্রাম আদালত সক্রিয়করণের কাজ চলছে। এই প্রকল্পটি বাংলাদেশ সরকার ইউরোপীয়ান ইউনিয়ন এবং ইউএনডিপি বাংলাদেশ এর কারিগরি সহয়তায় প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে বাংলাদেশ সরকারের স্থানীয় সরকার ও সমবায় মন্ত্রণালয়।