অসাধারণ বললে হবে কম,
আদর্শবান বললে হবে অল্প,
আজকে আমি বলবো পুরোদম
সেরার সেরা আমার বাবার গল্প।
দিনটি ছিলো সাতাশ ডিসেম্বর,
দারুণ মেধার ফুটলো সে এক ফুল,
অরুণ আলোয় সে ফুল অতঃপর
মানবগুণে হাসলো হুলস্থুল।
সালটা ছিলো উনিশশতো ত্রিশ,
ত্রিশ আর তৃষায় জ্বললো দুটি চোখ,
বিশ্বে যখন ব্যাপক ছিলো বিষ,
অমৃত তাঁর বক্ষে আনে সুখ।
শিশুর মতোন মনন ছিলো তাঁর,
শশীর মতোন স্নিগ্ধ ছিলো রূপ,
রবির মতোন তেজটি বারংবার
বাবার চোখে ঝলমলাতো খুব।
হইনা যতোই শ্রেষ্ঠ গল্পকার,
শেষ হবেনা আমার বাবার গল্প ;
শিক্ষকতায় নেই তুলনা তাঁর,
গল্পকথা তাঁর তুলনায় অল্প।
প্রজ্ঞাপূর্ণ প্রখর জ্ঞানালোক
মন-মগজে থাকতো দিবারাত্রি,
রসময়তা জুড়তো সবার বুক,
জ্ঞানের পাখায় উড়তো ছাত্রছাত্রী।
মাসটা ছিলো ছিয়াত্তরের জুন,
আকাশ ভেঙ্গে ঝরছে প্রবল বৃষ্টি ;
কার বিরহে ভিজলো আঁখির কোণ,
ঝাপসা হলো লক্ষ লোকের দৃষ্টি?
ষোলই জুনের সেই বিরহকাব্য
শেষ হবে কি অশেষ রিম ও দিস্তায়?
এই লিখা যে নদীর মতো নাব্য ,
যায় ছড়িয়ে পদ্মা-মেঘনা-তিস্তায়!
আদর্শবান বললে হবে অল্প,
অসাধারণ বললে হবে কম ;
সেরার সেরা আমার বাবার গল্প
বলতে যেন বহাল থাকে দম!