জানা গেছে, রেজা মিয়া গত ২০১৮ সালের ১৫ নভেম্বরে ফায়ার সার্ভিস সিভিল ডিফেন্সে ৪র্থ শ্রেণি (ফায়ার ফাইটার) পদে চাকরিতে যোগদান করেন। বর্তমানে তিনি ব
গুড়ার আদমদিঘি ফায়ার স্টেশনে চাকরি করছেন। মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক মন্ত্রণালয়ে অনলাইনে প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী ফুলছড়ি উপজেলার মুক্তিযোদ্ধার সংখ্যা ২৩২ জন। এই তালিকা মতে, আফতাব আলীর ঠিকানা অনুযায়ী কোনো মুক্তিযোদ্ধার নাম পাওয়া যায় নাই।
তবে স্থানীয়রা জানান, ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা সনদ প্রদান করে দীর্ঘদিন ধরে চাকরি করে আসছেন রেজা মিয়া। সরকারের দেওয়া বেতন উত্তোলন করছেন। অথচ তার পিতা আফতাব আলী মুক্তিযোদ্ধা নন। জাল মুক্তিযোদ্ধা সার্টিফিকেট ও ঘুষ বাণিজ্যের মাধ্যমে চাকরি নিয়েছেন তিনি। চাকরি দেওয়ার সময় এজন্যই তো যাচাই-বাছাই করেনি কর্মকর্তারা। যেসব কর্মকর্তা দায় সারাভাবে এ রকম কর্মকাণ্ড করেছেন তাদের শাস্তি হওয়া দরকার।রেজা মিয়ার বড় ভাই খাজা মিয়া জানান, তার পরিবারের কেউই মুক্তিযুদ্ধে কখনই অংশগ্রহণ করেনি। চাকরি নেওয়ার সময় ভুল করে মুক্তিযোদ্ধা কোটা অপশনে টিক প্রদান করা হয়েছিল। এজন্য তার ভাইয়ের মুক্তিযোদ্ধা কোটায় চাকরি হয়েছে। তবে সংশোধনের জন্য অফিসে তদবির চলছে।
এসময় তার পিতা মো. আফতাব আলির সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও অসুস্থতার কথা বলে দেখা করতে দেননি খাজা মিয়া।
এমনকি রেজা মিয়াও সঙ্গেও মোবাইল ফোনে যোগাযোগের একাধিকবার চেষ্টা করলেও তার সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।
দক্ষিণ কাঠুর গ্রামের বাসিন্দা স্বপন মিয়া জানান, ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা সনদ প্রদান করে ৫ বছরের বেশি সময় ধরে চাকরি করে আসছেন রেজা মিয়া। দীর্ঘদিন থেকে সরকারের দেওয়া বেতন উত্তোলনও করছেন। আমার জানা মতে, তার বাবা মুক্তিযোদ্ধা নন। এর ভুয়া কাগজপত্র দিয়ে চাকরি নিয়েছে।
তবে বগুড়া আদমদিঘী ফায়ার স্টেশনের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা গোলাম কিবরিয়া জানান, গত ২০১৮ সালে চাকরিতে যোগদান করে রেজা মিয়া। ভুল করে মুক্তিযোদ্ধা অপশনে টিক মার্ক করার কোনো সম্ভাবনা নাই। সেই সঙ্গে রেজা মিয়ার শিক্ষাগত যোগ্যতার ৮ম শ্রেণি এবং পিতার মুক্তিযোদ্ধার সনদের সব কাগজ মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রণালয়সহ আটটি দপ্তরে প্রেরণ করা হয়। এরপর যোগ্যতা ও মুক্তিযোদ্ধা কোটার ভিত্তিতে চাকরি প্রদান করা হয়েছে। তবে পিতার ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা সনদ প্রদান করে চাকরি নিয়েছেন কিনা সেই বিষয়টি তিনি অবগত নন।