চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত–২ এর সামনে বৃহস্পতিবারও প্রতিবাদ এবং বিক্ষোভ করেছেন আইনজীবীরা। একপর্যায়ে আদালতটির এজলাস থেকে নেমে কাস কামরায় চলে যান বিচারক অলি উল্লাহ্।
এ বিষয়ে জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ আশরাফ হোসেন চৌধুরী (রাজ্জাক) দৈনিক আলোকিত বাংলাকে বলেন, মহানগর দায়রা জজ আমাদের বলেছিলেন, বিচারক অলি উল্লাহ্ আপাতত: ছুটিতে থাকবেন। কিন্তু বৃহস্পতিবার সকালে তিনি এজলাসে উঠে বিচার কাজ পরিচালনা করছিলেন। এ খবর পেয়ে আইনজীবীরা আদালতটির সামনে জড়ো হয়ে বিক্ষোভ করেন। একপর্যায়ে তিনি এজলাস থেকে নেমে যান। মহানগর দায়রা জজের সিদ্ধান্তের বিষয়টি হয়তো ওনার কাছে পৌঁছায়নি। তিনি আরও বলেন, আমাদের আজকে বৃহস্পতিবার জেলা ও দায়রা জজ এবং মহানগর দায়রা জজের সাথে আলোচনা হয়েছে। আমরাও সমিতিতে আলোচনা করেছি। আবারো জেলা ও দায়রা জজ এবং মহানগর দায়রা জজের সাথে আমাদের আলোচনা হবে। সমিতিতেও আমরা সভা করব। আশা করছি, সৌহার্দ্যপূর্ণ আলোচনা হবে এবং একটি সিদ্ধান্ত আসবে।
প্রসঙ্গত, গত মঙ্গলবার চট্টগ্রামের মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত–২ এ বিচারকের সাথে আইনজীবীদের তর্কাতর্কির ঘটনা ঘটে। এসময় আদালত কক্ষে ব্যাপক হট্টগোল হয়। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে আহত একজন ভিকটিম মামলার আবেদন করলে এর ওপর শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। ওই শুনানিতে তর্কাতর্কি ও হট্টগোলের ওই ঘটনাটি ঘটে। এ ঘটনায় তাৎক্ষণিক এজলাস থেকে নেমে গিয়ে কাস কামরায় চলে যান সংশ্লিষ্ট বিচারক। এরই ধারাবাহিকতায় মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেসির অন্যান্য বিচারকরাও এজলাস থেকে নেমে গিয়ে কাস কামরায় চলে যান। দুপুর আড়াইটা পর্যন্ত বিচারকরা কর্মবিরতিতে ছিলেন। একই সাথে আদালতটির সামনে আইনজীবীরা সংক্ষুব্ধ হয়ে তাৎক্ষণিক বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেন। কর্মসূচি থেকে মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেসি–২ এর বিচারক অলি উল্লাহ্’র বদলি চাওয়া হয়। আদালতসূত্র জানায়, পরে অন্যান্য বিচারকরা এজলাসে বসে বিচার কাজ পরিচালনা করলেও ম্যাজিস্ট্রেট অলি উল্লাহ্ এজলাসে আর উঠেননি।